যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপ পেতে যা জেনে রাখা ভালো

যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার শখ অনেকেরই থাকে। অনেক সময় দেখা যায় ভালো সিজিপিএ থাকা সত্ত্বেও জানা-শোনার অভাবে স্বপ্ন, স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে কিছু জানানোর চেষ্টা থাকবে এই আর্টিকেলটিতে।
 

প্রথমে যে বিষয়টি নিয়ে জানানোর চেষ্টা করবো সেটি হলো কমন একটা প্রশ্নের উত্তর। আর তা হলো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কত ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত তিন ধরনের স্কলারশিপ বা ফান্ডিং দিয়ে থাকে।

শিক্ষক সহকারি (TA): সোজা কথা শিক্ষকের ডান হাত হয়ে কাজ করতে হয়। শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার সময় সাহায্য করা, পরীক্ষার প্রশ্ন প্রস্তুত করা, উত্তরপত্র মার্কিং করা, ক্লাসের ছাত্রদের কোন সমস্যা হলে সেটা সমাধান করে দেওয়া।

গবেষণা সহকারি (RA): প্রফেসরকে গবেষণাগারে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করার বিনিময়ে ফান্ড দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গ্রাজুয়েট সহকারি (GA): TA এবং RA এর বাইরে আরো এক ধরনের স্কলারশীপ দেওয়া হয়। যা GA নামে পরিচিত। তবে এ ধরনের ফান্ডিংপ্রাপ্তকে নির্দিষ্ট কোন কাজ দেওয়া হয়না, যখন দরকার পরে কাজে ডাকা হয়।

আমেরিকার অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তির অন্যতম শর্ত হলো জিআরই বা জিম্যাটের মত স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট এর স্কোর থাকতে হবে। জিআরই বা জিম্যাট পরীক্ষার স্কোরের পাশাপাশি আরও প্রয়োজন হয় ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট স্কোর IELTS বা টোফেল। মনে রাখবেন, জিআরই স্কোর একটি অন্যতম ফ্যাক্টর, যার উপর ফান্ডিং ও অ্যাডমিশন নির্ভর করে। তবে তাই বলে এটাই যে একমাত্র ফ্যাক্টর, তা ভাবা ঠিক হবে না।
 

অ্যাডমিশন কমিটি আপনার জিআরই স্কোরের সাথে আরো যে বিষয়গুলো দেখবে সেগুলো হচ্ছে:

১. আপনার আন্ডারগ্র্যাডের সিজিপিএ

২. আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট (আয়েল্টস বা টোফেল) স্কোর কেমন

৩. আপনার ওই সাবজেক্টের গবেষণা বা থিসিসের কাজের গুরুত্ব কতখানি। সোজা কথায়, গবেষণায় আপনার দখল কতখানি

৪. কারা আপনার জন্য রেকমেন্ডেশন লিখেছে, সুপারিশের যোগ্য হিসাবে তারা আপনাকে কতখানি ভালো বলেছে

৫. আপনার ব্যক্তিগত স্টেটমেন্ট (SOP, Statement of Purpose) কতখানি যদি জিপিএ কম থাকে তাহলে তা ভালো জিআরই দিয়ে মেক আপ করা যেতে পারে। ‘যেতে পারে’ মানে আপনার একটা সুযোগ আছে এটাকে হাইলাইট করে অ্যাডমিশন কমিটির সুনজরে আসার। কিন্তু ভালো জিআরই মানেই যে ফান্ডিংসহ অ্যাডমিশনের গ্যারান্টি তা ভাবার সুযোগ নেই।

৬. আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে যাদের অ্যাডমিশন রিকয়্যারমেন্টের মধ্যে জিআরই বা জিম্যাটের দরকারই হয় না। তবে এমন ইউনিভার্সিটি দেখে থাকে আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট স্কোর। বিশেষ করে আমেরিকার বাইরের দেশগুলো যেমন, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো বিশেষ ভাবে আয়েল্টস স্কোরের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

তাই বিশ্বের যেকোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডেড অ্যাডমিশন পেতে হলে অবশ্যই ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টে বিশেষ করে আয়েল্টস-এ ভালো স্কোর থাকা আবশ্যক।